কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা শিবির থেকে নবম ধাপে নোয়াখালীর ভাসানচর যাচ্ছে আরও ৪১৪ জন রোহিঙ্গা।
বুধবার (০৫ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে উখিয়া ডিগ্রি কলেজের অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে আটটি বাসে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেয় তারা।
সেখান থেকে বৃহস্পতিবার (০৬ জানুয়ারি) তাদের নোয়াখালীর ভাসানচর নিয়ে যাওয়া হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজারের অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার সামছু দ্দৌজা জানান, নবম ধাপের প্রথম পর্যায়ে আটটি বাসে করে ৪১৪ জন চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছে। তিনি জানান, যেসব রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় যেতে আগ্রহী মূলত তাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, জাতিসংঘ যুক্ত হওয়ার পর এটি ভাসানচরে দ্বিতীয় দফায় রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর কার্যক্রম। এর আগে পর্যায়ক্রমে উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে ভাসানচর আশ্রয় শিবিরে স্থানান্তর করা হয় সাড়ে ১৯ হাজার রোহিঙ্গাকে।
আরআরআরসি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজারের আশ্রয়শিবিরের চাপ কমাতে অন্তত এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরের আশ্রয়শিবিরে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে সরকার। এজন্য সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে তিন হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নোয়াখালীর ভাসানচরে এক লাখ রোহিঙ্গার ধারণক্ষমতার আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়।
মিয়ানমারের রাখাইনে নৃশংসতার শিকার হয়ে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গারা পালিয়ে বাংলাদেশে আসতে শুরু করে। কয়েক মাসে অন্তত আট লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এর আগে আসে আরও কয়েক লাখ। বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১১ লাখ।